২০২২-০৫-১৪ ১৮:০৮:৫৫ / Print
ছড়াসাহিত্যে অবদানের জন্য ১১জন ছড়াকারকে সম্মাননা ও পদক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছড়ার ছোটোকাগজ ‘ছড়ালোক’-এর আয়োজনে এ অনুষ্ঠান সম্পন হয়।
‘ছড়ালোক’ সম্পাদক শাহাদত বখ্ত শাহেদের সভাপতিত্বে ও মিনহাজ ফয়সল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক আনজীর লিটন।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্য দেন কবি সৌমিত্র দেব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গল্পকার জামান মাহবুব। সভায় বক্তারা বলেন, ‘ছড়া সময়ের বাণী।
সমাজের অসংহতি দুর করতে ছাড়াকারেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এ ছাড়া শিশুর মন ও মানসিকতা ইতিবাচকভাবে বিকশিত করতে ছড়াকারদের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ছড়ালোক’ ছড়া সাহিত্যে যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, তা ছড়া সাহিত্যের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে ‘ছড়ালোক সম্মাননা’ দেওয়া হয় প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক আনজীর লিটনকে। ‘ঢালপত্র পদক’ তুলে দেওয়া হয় ছড়াকার নুরুজ্জামান মনি, শাহীন ইবনে দিলওয়ার, বদরুল আলম খান (প্রয়াত), রহমান তাওহীদ ও আকরাম সাবিতকে।
‘টুংটাং পদক’ দেওয়া হয় মিলু কাশেম, এনায়েত হাসান মানিক, অজিত রায় ভজন, সিরাজ উদ্দিন শিরুল ও ছাদিক হুসাইনকে।
অনুষ্ঠানে মিলু কাসেম, শাহীন ইবনে দিলওয়ার ও রহমান তাওহীদ অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তোলে দেওয়া হয়। অন্যান্য সম্মাননাপ্রাপ্ত ৮ জন ছাড়াকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ছড়ালোকের পক্ষ থেকে সম্মাননা ও পদকপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, মেডেল, উত্তরীয় ও সম্মানাপত্র তোলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির জেলা শিশু সংগঠক সাইদুল রহমান ভুঁইয়া,
ছড়াকার জয়নাল আবেদীন জুয়েল, কবি সুমন বণিক, ছড়াকার এখলাসুর রাহমান, প্রকাশক জসিম উদ্দিন, কবি ছয়ফুল আলম, লুৎফুর রহমান, আব্দুল কাদির জীবন প্রমুখ।