হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগানে চিকিৎসকের অবহেলায় কিষান বোনার্জী নামে পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্র মারা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা এক দিনের কর্মবিরতি পালন করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, নোয়াপাড়া চা বাগানের রিতু বোনার্জীর ছেলে কিষান বোনার্জী গত কয়েক দিন ধরে কানের ব্যথায় ভুগছিল। চিকিৎসার জন্য বাগান পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেডিকেল এটেনডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম কিষান বোনার্জীকে কিছু ঔষধ দেন। ঔষধ সেবনের পর তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটে।
শুক্রবার সকালে কিষানকে আবার বাগানের হাসপাতালে নেওয়া হলে জাহাঙ্গীর আলম তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক কিষানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সংবাদ বাগানে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কমপাউন্ডার জাহাঙ্গীর আলমকে দায়ি করে কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি পালন করে।
বাগানের নারী শ্রমিক সুকন্তলা গোয়ালা জানান, নোয়াপাড়া চা বাগানের হাসপাতালে কোন এমবিবিএস ডাক্তার নেই। নিয়ম অনুযায়ী চা বাগানে একজন ডাক্তার থাকার কথা।
কিন্তু বাগানে এমবিবিএস ডাক্তারের পরিবর্তে কমপাউন্ডার জাহাঙ্গীর আলম রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তার ভুল চিকিৎসার কারণে কিষান বোনার্জীর মৃত্যু হয়েছে।
চা বাগানের উপ ডেপুটি ম্যানাজার সোহাগ মাহাম্মুদ বলেন, স্কুলছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, শুক্রবার রাতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং বাগানের ব্যবস্থাপক মিলে তা মিমাংসা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারকে ৬৫ হ্জাার টাকা দেওয়া হয়েছে এবং বাগান থেকে তার পরিবারকে শ্রমিকের একটি স্থায়ী কাজ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।