হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল বখাটে সুমন। বার বার প্রত্যাখ্যান করেন তরুণী স্বপ্না। আর তাতেই বেকে বসে সুৃমন ও তার সহযোগী নাইম। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বপ্নার স্তন ও কেটে হত্যা চেষ্টা চালায় দূর্বৃত্তরা।
এমন অভিযোগে বখাটে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নির্যাতিতার বাবা। গুরুতর আহত স্বপ্নাকে (১৯) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল রোববার রাতে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের মানিকপুর পুর্ব মহল্লা গ্রামের দিন মজুর বিল্লাল মিয়ার মেয়ে স্বপ্না বেগম নির্মম হামলার শিকার হন।
জানা যায়, মানিকপুর গ্রামের মারুফ মিয়ার ছেলে সুমন (২২) প্রায় সময়ই স্বপ্নাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কিন্তু স্বপ্না প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন।
১৭ এপ্রিল রোববার রাতে পাশ্ববর্তী ঘরে থাকা স্বপ্নার ফুফু হামীদা বেগম প্রতিদিনের মত সেহরী খাওয়ার জন্য স্বপ্নাকে ডেকে দেন। এসময় স্বপ্না ঘুম থেকে উঠে টিউবওয়েলে মুখ ধুতে গেলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা সুমন ও তার বন্ধু নাইম স্বপ্নাকে মুখে চেপে ধরে ধারালো ছুরি দিয়ে স্বপ্নার দুই স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। বাম হাতের কব্জি কাটার চেষ্টা করলে স্বপ্নার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে বখাটে সুমন ও নাইম পালিয়ে যায়।
এসময় স্বপ্নাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় স্বপ্নার বাবা দুই বখাটে যুবককে অভিযুক্ত করে মাধবপুর থানায় মামলা করেছেন।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো: গোলাম কিবরিয়া হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,
দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেটসানডটকম -আইডিবি