২০২২-০৪-১৪ ১০:৩৯:০৮ / Print
রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আনন্দলোক’র আয়োজনে ‘বর্ষবরণ উৎসব ১৪২৯’ সিলেট নগরীর কেওয়াপাড়াস্থ শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. আরশ আলী।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাত্যহিক ও জাতীয় জীবনের সাথে মিশে আছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে যার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বাঙালির প্রেম বাঙালির কাজ বাঙালির ভাষা সবই সত্য হয়ে উঠুক এবারের বর্ষবরণে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে উঠুক আমার প্রিয় স্বদেশ।
বৃস্টিস্নাত এবারের পহেলা বৈশাখে আনন্দলোকের শিক্ষার্থীরা ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ মাধ্যমে শুরু করে একে একে নিবেদন করেন- ‘ধ্বনিল আহবান মধুর গম্ভীর’, ‘আকাশভরা সূর্য তারা বিশ্বভরা প্রাণ’, ‘সংকোচের বিহবলতা নিজেরে অপমান’, ‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া’ রবীন্দ্রসংগীতগুলি।
‘মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়’ শীর্ষক উৎসবে অংশ নেয় বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, সিলেট, গীতবিতান বাংলাদেশ, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, সিলেট, সুরাঞ্জলি, চারুবাক, নজরুলসংগীত শিল্পী পরিষদ, সিলেট।
নাজমা পারভিনের সঞ্চালনায় উৎসবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনন্দলোকের পরিচালক বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা, ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন আনন্দলোকের সমন্বয়ক রবিকিরণ সিংহ রাজেশ। সম্মেলক কণ্ঠে জাতীয় সংগীত নিবেদনের মাধ্যমে উৎসব সমাপ্ত হয়।