একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজী মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। আজ রোববার ভোররাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে কবি সুমী সিকানদার।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সুমী সিকানদার লিখেছেন, 'শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মাকে ভর্তি করা হয়। কোভিড পজিটিভ হওয়ায় তাকে আইসোলেশন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। তবে সে সময় মায়ের মস্তিষ্ক কাজ করছিল না, কিডনিতে ইনফেকশন; মাল্টি অর্গান প্রবলেম ছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টা৩০ মিনিটে মারা যান।'
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অবসর নেন।
সাতক্ষীরা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কাজী রোজী। তিনি জাতীয় সংসদের গ্রন্থাগার সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শৈশব থেকেই লেখালেখি করেন কাজী রোজী। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'লড়াই', 'পথঘাট মানুষের নাম' ও 'আমার পিরানের কোনো মাপ নেই'।
কাজী রোজী ২০১৮ সালে কবিতায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০২১ সালে ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক অর্জন করেন।
এদিকে বিশিষ্ট কবি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রোজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, কবিতার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী কাজী রোজীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সিলেটসানডটকম-এমডিজি