ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে দেশের সব রাজনৈতিক দল। ব্যক্তি এবং পেশাজীবীদের মধ্যেও এ নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের কাছ থেকে সার্চ কমিটি যে ৩১৫ জনের নাম পেয়েছে, সেখান থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এই বৈঠকের পর থেকেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাদের সততা এবং নৈতিকতার বিভিন্ন দিক আবারও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন অবস্থান বা ভূমিকাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় সার্চ কমিটির ষষ্ঠ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, রোববারের বৈঠকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ২০ জনের যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনার পর ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হবে। ওই ১০ জনের বিষয়ে যে কোনো ধরনের বিতর্ক এড়াতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।
@ এরপর আগামী ২২ কিংবা ২৩ ফেব্রুয়ারি ফের বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটি। ওই বৈঠকের পর ১০ জনের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। এই ১০ জনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে দুইজন এবং নির্বাচন কমিশনার পদে আটজনের নাম প্রস্তাব করা হবে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে এই তালিকা পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই তালিকা থেকেই একজনকে সিইসি এবং চারজনকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। এই ইসির অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন।
সূত্র আরও জানায়, সিইসি পদে এবার বিচার বিভাগের কারও না আসার সম্ভাবনাই বেশি। কয়েকজন সাবেক সচিব ও একটি বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে সিইসি পদে আলোচনায় রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার পদে অবসরপ্রাপ্ত আমলা, বিচারক, নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ থাকতে পারেন। তালিকা চূড়ান্ত করার আগে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিরা দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত কিনা, সে বিষয়েও তাদের মতামত নেওয়া হবে।
এদিকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আগে প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে কিনা তা নিয়ে সার্চ কমিটির শনিবারের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে মিশ্র মত থাকলেও অধিকাংশ মনে করেন, আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের (সার্চ কমিটি) তালিকা পাঠাতে হবে। এই তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশের প্রয়োজন হলে সেই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দেবেন। প্রয়োজন হলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সেটি করবে।
সিলেটসানডটকম- আরবিএস