২০২২-০২-০১ ০৯:৫৭:২০ / Print
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসাপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রায় আড়াই মাস হাসপাতালে থাকার পর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরলেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়িটি ফিরোজায় প্রবেশ করে। এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল হওয়ায় এবং তিনি নিজে বাসায় ফিরতে উদগ্রীব হওয়ায় চিকিৎসকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় কর্মরত সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে পুরো বাসভবন।
সংশ্নিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তক্ষরণ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তাই তাকে বাসভবনে রেখেই চিকিৎসার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। এ জন্য তার বাসাতেই চিকিৎসার প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়া নিজেও আর হাসপাতালে থাকতে চাচ্ছিলেন না। এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রায় আড়াই মাস রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরাও মনে করছেন, বাসায় পারিবারিক পরিবেশে রাখতে পারলে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে পারবেন।
অন্যদিকে হাসপাতালে প্রতিনিয়ত করোনা রোগীর আগমন ঘটছে। এতে খালেদা জিয়াও আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। এর আগে তিনি হাসপাতালে থেকেই দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গত ১৩ নভেম্বর রক্ত বমির পরপরই খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। এরপর ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তার চিকিৎসাসেবা নিয়োজিত হয়। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
হাসপাতালে ভর্তির পরও তার রক্ত বমিসহ রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এতে তার রক্তের হিমোগ্লোবিন মাত্রাতিরিক্ত কমে যেতে শুরু করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে রক্ত দিতে হত তাকে। লিভারের সমস্যার কারণে তার অরুচি, ওজন হ্রাস, জ্বর জ্বর ভাব, শরীরে পানি আসা, খনিজে অসমতাসহ বহু সমস্যা দেখা দেয়। তার শরীরে প্রধান ইলেকট্রোলাইট অর্থাৎ সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্লোরিন উপাদানের পরিমাণ কমে যেতে থাকে। তার ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রিত ছিল। কিডনির ক্রিটিনিন বর্ডার লাইনও খারাপ পর্যায়ে চলে যায়।
সিলেটসানডটকম/এসএ