স্কুল জীবন থেকেই সাংবাদিকতা শুরু মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ূমের। ছাতকের এক নিবৃত পল্লী থেকে উঠে আসা তার। সিলেটে থাকাকালে তার অনেক প্রতিবেদন আলোচিত হয়।
স্কুলজীবনে (১৯৯২ সাল) সিলেটের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদপত্র দৈনিক সিলেট বাণীর ছাতক প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন সাংবাদিকতায়। এরপর একে একে কাজ করেন, প্রাচীনতম দৈনিক যুগভেরী, দৈনিক জালালাবাদ, দৈনিক মানচিত্র, দৈনিক শ্যামল সিলেটের মতো জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি হওয়ার মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সংবাদ পৌঁছে দেন গোটা দেশজুড়ে।
নিজের মেধাগুণে তিনি ওই সময়ের তরুণ সাংবাদিকদের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নেন। যা তাকে পৌঁছে দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত। তিনি প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের মিডিয়ার দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠার সাথে।
২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর এমএ কাইয়ূম যোগ দেন বাংলা পোস্ট এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে। এরপর বিলেতের প্রথম বাংলা স্যাটেলাইট বাংলা টিভির চিফ রিপোর্টার, চ্যানেল আই ইউরোপের চিফ রিপোর্টার, চ্যানেল নাইন ও এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন।বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইউকেবিডি টাইমস এর প্রধান সম্পাদক।
এমএ কাইয়ূম পরপর দুইবার লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের কমিনিকেশন সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এমসি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী কাইয়ূম সাংবাদিকতা বিষয়ে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
২০০২ থেকে টানা ৫ বছর প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের মিডিয়া প্রধান হিসেবে কাজ করার সুবাদে মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ূম অর্জন করেছেন দুর্দান্ত সাংগঠনিক দক্ষতা, যেকোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা এবং যথাযথভাবে কর্ম ব্যবস্থাপনা। এছাড়া যেকোনো সংগঠনের একজন আর্থিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনে যে গুণগুলো থাকা দরকার তারও গুরুত্বপূর্ণ পাঠ তিনি গ্রহণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই। এসব অভিজ্ঞতা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ূমকে প্রেস ক্লাবের এবারের নির্বাচনে অ্যাসিসটেন্ট ট্রেজারার পদে একজন যোগ্যতম প্রার্থী হিসেবেই প্রতীয়মান করে।
এম.এ কাইয়ূম ক্লাবের সকল সদস্যদের কাছে মূল্যবান রায় ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন। সিলেট সান/এফবি