২০২১-১১-২৫ ১২:৩৩:৪০ / Print
মাত্র ৫ মিনিটে কয়েকটি ফোন কল। আর এসব ফোন উৎকণ্ঠিত মানুষের। তাদের কেউ ফোন দিয়েছেন আতঙ্কিত হয়ে। হঠাৎ বোমার শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো জিন্দাবাজার জুড়ে। আতঙ্কিত লোকজন ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান খোঁজতে শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রচণ্ড শব্দে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। বিকট শব্দে শপিং করতে আসা অনেকেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা ভয়ে দোকানের ভেতর আশ্রয় নেন। কিছু সময়ের জন্য নগরীর জিন্দাবাজার থমকে যায়। যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
৫/৭ মিনিট পরে লোকজনের বুঝতে বাকি রইল না একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনের জন্য আতশবাজির আওয়াজ।
স্থানীয় লোকজন জানান, জিন্দাবাজার ছিদ্দিক প্লাজায় (সাবেক কেএফসি) একটি রেস্তোরার উদ্বোধন হয়। আর এজন্য আতশবাজির আয়োজন করা হয়। বেশ কিছু সময় চলে আতশবাজি।
আতশবাজির আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে পুরো সিলেট জুড়ে। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে আতঙ্কিত লোকজন বিভিন্ন গণমাধ্যম অফিসে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানতে চান।
জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। তার দোকানে শিশু মহিলাসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা ছিলেন। তারা আতঙ্কে দোকানের ভেতর বসে পড়েন। শব্দ শুনে তার স্ত্রী সন্তানরা ফোন দিতে থাকেন। দোকান থেকে বের না হওয়ার জন্য বলে।
জাকির হোসেন বলেন, কয়েক বছর আগে তার মার্কেটের পাশে নেহার মার্কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রচণ্ড শব্দে বুঝতেই পারিনি পাশের মার্কেটে এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। সেদিন প্রচণ্ড শব্দ এখনো কানে বাজে। ভয়ে শিউরে ওঠে শরীর।
তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্বোধনী অনুষ্টান করার আগে পুলিশের অনুমতি নিয়ে করলে ভাল হত। প্রশাসন থেকে গণমাধ্যমে প্রেসরিলিজ পাঠিয়ে সতর্ক করতে পারত। আমি জানিনা এ ধরনের অনুষ্টানের আগে কোন অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না।
রাতে
নগরীর নাইওরপুল, জেলরোড, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, মিরাবাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফোন আসে এই প্রতিবেদকসহ অনেকের কাছে।
এ ব্যপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ সহকারি কমিশনার (মিডিয়া) এবিএম আশরাফ উল্লাহ জানান, আমিও শব্দ শুনেছি। বিষয়টা দেখছি।
তিনি আরো বলেন, আতশবাজি জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়না। সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে চায়নিজ রেষ্টুরেন্টের আতশবাজি বন্ধ করা হয়েছে।
সিলেট সান/এসএ