২০২১-১০-০৬ ০৬:৪১:৪৯ / Print
খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পুলিশের এপিবিএন কনস্টেবল মো. মাহমুদ আলমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার খুলনা বিভাগীয় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফ মাহমুদ লিটন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার জামালনগর গ্রামের জাবেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি খুলনার শিরোমনির তৃতীয় এপিবিএনের নায়েক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর পুলিশের এপিবিএন কনস্টেবল মাহমুদ আলমের সঙ্গে জোয়ানা আক্তার ঊষার বিয়ে হয়। হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পূর্বে আসামি খুলনা মহানগরীর যোগীপোল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মনিরুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নেন। ঊষাকে খুলনার ওই বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া-কলহ লেগে থাকত।
২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল ঊষাকে মারধর করলে বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরের দিন ঊষার ভাই জিএম সোহেল ইসলাম তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে আসামির সঙ্গে নিহতের ভাইয়ের দেখা হলে জানায় সে, ব্যাটেলিয়নের পুকুরে গোসল করতে যাচ্ছে। বাসায় গিয়ে সোহেল বোনকে ডাকতে থাকে।
একপর্যায়ে সাড়াশব্দ না পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ঘরে গিয়ে দেখেন ঊষা কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। ডাক দেওয়ার পর না উঠলে তিনি পাশের বাড়ির ফরিদা পারভীনকে ডেকে ঊষার মুখে পানি দেয়। পরে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই দিন নিহতের ভাই ভগ্নিপতি মাহমুদ আলম, পিতা জাবেদ আলী সরদার ও মা লুৎফুন্নেছার নাম উল্লেখ করে খানজাহান আলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ১৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নৃপেন পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদ আলমকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। মামলার বাদী জিএম সোহেল রায়ের ব্যাপারে খুব খুশি। রায়টি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তিনি।
সিলেট সান/এসএ