২০২১-০৯-২০ ০৫:৩০:৪৭ / Print
মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নে একটি ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ কামাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় আবুল কালাম নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও চারজন।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে কুতুবজোম ৫ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়ায় জামিয়ুসসুন্নাহ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই ওই কেন্দ্র এবং পার্শ্ববর্তী কুতুবজোম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আবুল কালাম নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামাল জানান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামিয়ুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে সকাল থেকে সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকরা হঠাৎ ধারালো ছুরি নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে। এর পরই পরিকল্পিতভাবে গুলি করে তারা। এ ঘটনায় আহতরা নৌকা প্রতীকের সমর্থক কর্মী বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর করা অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকন বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে শেখ কামালের সন্ত্রাসী বাহিনী, এমন খবর পেয়ে ভোটার ও তার সমর্থকরা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রে গেলে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ক্যাডাররা গুলি করে।
তিনি বলেন, ‘৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামিয়ুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্যপ্রার্থী ফুটবল প্রতীকের ফরিদুল আলম ও টিউবওয়েল প্রতীকের জহিরুল ইসলামের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানেও আমার লোকজন হামলা করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’
কুতুবজোম ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তারা। দুটি কেন্দ্রই পাশাপাশি। আপাতত ওই দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
সিলেট সান/এসএ