শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইংরেজী, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণকারীদের ৯৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি

সিলেট সান ডেস্ক::

২০২১-০৮-০২ ০৩:০৫:০৬ /

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যারা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিয়েছেন, তাদের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রকাশিত টিকা সংক্রান্ত একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়, মূলত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারতে প্রস্তুত করা কোভিশিল্ড দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে আরও কয়েক ধরনের টিকা এ কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। টিকাদানের উদ্দেশ্য হলো মানবদেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা, যা ভবিষ্যতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এবং আক্রান্ত হলেও রোগের তীব্রতার সম্ভাবনা কমায় বলে আগের গবেষণায় জানা গেছে।

‘ঐধবসধঃড়ষড়মরপধষ চধৎধসবঃবৎং ধহফ অহঃরনড়ফু ঞরঃৎব অভঃবৎ ঠধপপরহধঃরড়হ অমধরহংঃ ঝঅজঝ-ঈড়ঠ-২’ শীর্ষক গবেষণায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ সহ-গবেষক হিসেবে প্রকল্পটিতে যুক্ত ছিলেন।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত করোনার টিকা গ্রহণকারী ২০৯ জন এই গবেষণায় স্বেচ্ছায় অংশ নেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ পুরুষ এবং অর্ধেকের বেশি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশের আগে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ইতিহাস আছে। অর্ধেকেরও বেশি অংশগ্রহণকারী আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন।

তবে এ ধরনের রোগের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকাগ্রহণের পর অ্যান্টিবডি তৈরিতে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী টিকাগ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের সবার ক্ষেত্রেই উপসর্গ মৃদু ছিল। রক্ত জমাট বাঁধা বা এ ধরনের অন্য কোনো জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গবেষণাকালীন সময়ে দেখা যায়নি।

গবেষণায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির কোনো সম্পর্কও পাওয়া যায়নি। সার্বিক বিবেচনায় টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যারা আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

এ গবেষণা থেকে বাংলাদেশের জনগণের ওপর টিকা প্রয়োগের পর কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির পরিবর্তন এবং টিকাদান কর্মসূচিতে নতুন অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য টিকার অ্যান্টিবডি তৈরির কার্যক্ষমতা পর্যালোচনার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানানো হয়।


সিলেট সান/এসএ

এ জাতীয় আরো খবর

সংবাদ সম্মেলন : কম খরচে জটিল সব চিকিৎসা করা যাবে  জীবনজ্যোতি হাসপাতালে

সংবাদ সম্মেলন : কম খরচে জটিল সব চিকিৎসা করা যাবে জীবনজ্যোতি হাসপাতালে

 প্রোস্টেট ক্যান্সারের রোগী দুই দশকে হবে দ্বিগুণ

প্রোস্টেট ক্যান্সারের রোগী দুই দশকে হবে দ্বিগুণ

যেসব ওষুধের দাম কমবে

যেসব ওষুধের দাম কমবে

৮ বছরে ১০ হাজার নরমাল ডেলিভারী : ব্যতিক্রম কিছু করতে চান ডা. ইসমাত

৮ বছরে ১০ হাজার নরমাল ডেলিভারী : ব্যতিক্রম কিছু করতে চান ডা. ইসমাত

প্রসবকালে অসচেতনতাই ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ: মতবিনিময় সভায় বক্তারা

প্রসবকালে অসচেতনতাই ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ: মতবিনিময় সভায় বক্তারা

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে জেল-জরিমানা থাকায় ভুল চিকিৎসা কমবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে জেল-জরিমানা থাকায় ভুল চিকিৎসা কমবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী