২০২১-০৭-২৮ ১২:০২:২৩ / Print
কুলাউড়ায় একটি ডাকাতির ঘটনায় একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান ও ৬ রাউন্ড কার্তুজসহ ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের ৭ জনের নামে বিভিন্নস্থানে ২৯ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে কুলাউড়া থানা পুলিশ গণমাধ্যমকে পাঠানো একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই গভীর রাতে উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম আলীর বাড়িতে ৮ থেকে ৯ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ঘরে গেইট ও দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। ইকরাম আলীর পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় সাড়ে এগারো লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতির অভিযোগ এনে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা (নং -১৬) দায়ের করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত রাজনগর উপজেলার শালন গ্রামের তরিক মিয়ার পুত্র মিলাদ মিয়াকে (৩০) মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মিলাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই রাতেই উপজেলার টিলাগাঁওয়ের বাঘেরটিকি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে পাইপগান ও ছয় রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এর আগে ওই ডাকাতির অভিযোগসহ বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত থাকায় থানা পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে উপজেলার হাজীপুরের দক্ষিণ পাবই গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র আব্দুল মজিদ, কমলগঞ্জ উপজেলার শ্রীমতপুর গ্রামের মৃত বশির মিয়ার ছেলে আব্দুছ ছত্তার রাজু তার বড় ভাই হারুন মিয়া, কুলাউড়া পৌর শহরের মাগুরার বাসিন্দা মৃত সিদ্দিক মিয়ার পুত্র আল আমিন, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুরের বিলের পাড় এলাকার মৃত ইসমাইল আলীর পুত্র সালাহ উদ্দিন, রাজনগর উপজেলার মশাজান গ্রামের মৃত রাজিব উল্লার পুত্র ইলিয়াস মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলার টিলাগাঁওয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত এ পর্যন্ত ৭ জনকে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ বুধবার মিলাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিলাদের দেওয়া তথ্যমতে কার্তুজসহ দেশী অস্ত্র পাইপগান উদ্ধার করা হয়। টিলাগাঁওয়ে ডাকাতির ঘটনায় লুটকৃত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সিলেট সান/এসএ