২০২১-০৭-২০ ১৫:৫২:৩৬ / Print
ঈদ উল আজহায় পশু কোরবানির জন্য নগরীর ২৮টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এর বাইরে রাস্তায় কোরবানি এবং ড্রেন, ছড়া-খালে বর্জ্য ও পশুর চামড়া না ফেলার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মেয়র বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির এই সময় বিবেচনায় কোরবানির বর্জ্য ছড়িয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনবেন না। যথাস্থানে কোরবানি এবং বাসাবাড়িতে চামড়া সংরক্ষণ করে নগর পরিচ্ছন্ন রাখতে সহযোগিতা করুন। আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবেন।’
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত স্থানসমূহের পশু কোরবানির জন্য উপযোগী পরিবেশ থাকবে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে যাতে কোরবানির পশু জবাই করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানগুলো হলো- ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ অর্ণব মীরের ময়দান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রহরী আ/এ পুরাতন মেডিকেল কলোনি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ডাক্তার গার্ডেন কাজলশাহ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মজুমদারী পুকুরপাড়, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর কার্যালয়, ১২, ১৪, ১৭, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিললের বাসা সংলগ্ন স্থান।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাগবাড়ির এতিম স্কুল সড়কের জবাইখানা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নবাব রোডস্থ পিডিবি কোয়ার্টার, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে লালদিঘিরপাড়স্থ কাউন্সিলর কার্যালয়ের পেছনে, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরবাজার মাদরাসা মাঠ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল জামেয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সওদাগরটুলা মাঠ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কুমারপাড়াস্থ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনের মাঠ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দস্তরীপাড়া মসজিদ সংলগ্ন স্থান, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ হাতিম আলী (রা.) উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতিম (রা.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল উপশহরস্থ ‘এ’ ব্লকের ৭ নম্বর সড়ক ও ‘ই’ ব্লকের মসজিদ সংলগ্ন খেলার মাঠ পশু কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নির্ধারিত প্রত্যেকটি স্থানে কোরবানির সরঞ্জাম যেমন, চাটাই, টুকরি, সাবান, পানি, ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হবে। কোরবানির জন্য দুজন করে সহায়তাকারী থাকবেন এসব কেন্দ্রে।
এসব স্থানে পশু কোরবানির পরপরই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সিসিকের পরিচ্ছন্নতা শাখার কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি পশু কোরবানি এসব স্থানে সিসিকের একাধিক মনিটরিং টিম কাজ করবে।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপালন করবেন সিসিকের পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান। এ কার্যক্রমে সিসিকের সাড়ে ১৮শ কর্মী কাজ করবেন। সিসিকের ৯২টি যানবাহন বর্জ্য অপসারণের কাজে ব্যবহৃত হবে।
পাশাপাশি ২৭টি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে সিসিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে দুই ধাপে ১২টি টিম গঠন করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান জানান, নির্ধারিত স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করবে সিসিক। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে নগরে জবাই করা পশুর সব বর্জ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে নিয়মিত শ্রমিকের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১২শ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮৬২ জন শ্রমিক এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে। এতে পরিচ্ছন্নতার কাজ সহজ হবে এবং পশুর বর্জ্যরে দুর্গন্ধে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে না।’
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম যাতে গাফিলতি না হয় সেজন্য তিনস্তরের মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
সিলেট সান/এসএ