২০২১-০৭-১৬ ০৯:২১:২০ / Print
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদুল আজহার পশুর হাট। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে হাটের বেচাকেনা। ক্রেতাদের সমাগম বাড়ায় গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে হতাশাগ্রস্ত খামারিদের মুখে কিছুটা হাসি ফুটেছে।
শুক্রবার বিকেলে আদমপুর বাজারে দেখা যায়, হাটে বিপুল পরিমান গরু, মহিষ ও ছাগল বাজারে উঠেছে। সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় পশুর হাট।
রামপুর গ্রামের ক্রেতা রমুজ মিয়া, নইনারপর গ্রামের সাব্বির এলাহী জানান, লকডাউন শিথিল হওয়ায় আদমপুর গরুর হাটে গরুর বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এতে ক্রেতারা খুশি না হলেও খামারি ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। সোমবার হাটে যে গরুর দাম ছিল ৬০-৬৫ হাজার সেই গরু শুক্রবার ৭০-৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই পশুকে খাওয়ানো ও রাখার বিষয়টি ঝামেলা মনে করে শেষ দিকে গরু কিনছেন। তাই এখন ক্রেতা বেশি। হাটে দেশি জাতের গরুর আধিক্য দেখা যায়।
আদমপুর বাজারের পশুর হাটে দেখা যায়, দেশি গরুতে বাজার সয়লাব। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া সর্বনিন্ম ৪০-৫০ হাজার টাকাও মিলছে গরু। কোরবানি দাতারা বড় গরু বেশি কিনছেন।
আদমপুর খামারি আনিছুর রহমান বলেন, গরুর বাজার প্রথমদিকে একটু মন্দা গেছে। শুক্রবার আদমপুর পশুর হাটে সেই গরু বিক্রি হয়েছে ৮৫ হাজার টাকায়।
আদমপুর বাজার ইজারাদার জুয়েল চৌধুরী জানান, লকডাউন শিথিল হওয়ায় শুক্রবার মোটামোটি বেচাকেনা হয়েছে। তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে তিনটি স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ও প্রায় ৪ শত লোকের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হেদায়েত আলী জানান, উপজেলায় কোরবানি ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত গরুর সংখ্যা ৬ হাজার। উপজেলায় অর্ধশতাধিক খামারি রয়েছে। এবার চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত গরু রয়েছে। হাটগুলোতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসনও কাজ করছে।
এ.কে.ডি